প্রতিষ্ঠাতার বাণী


বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলার একটি বরগুনা। বরগুনা জেলার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের পশ্চিম উপকূলের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত পাথরঘাটা উপজেলা। এই উপজেলার দক্ষিণে সাগর ও সুন্দরবন ঘেঁষে চৌধূরী মাসুম কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট’র অবস্থান।

এ জেলার মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে। অনুন্নত কৃষি ব্যবস্থা, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগই এর প্রধান কারন। এছাড়া লবণাক্ততার কারনে রবি মৌসূমে দানাফসল চাষ অনেকটাই কমে গেছে। প্রান্তে বসবাসকারী পাথরঘাটার কৃষকরা কৃষির নতুন প্রযুক্তি অনেক দেরিতে শুরু করে। সে কারনে কম দাম পেয়ে কৃষকরা বেঁচে থাকতে পারেনা। তাই পেশা বদল করে চলছে।

এসকল প্রতিকূলতাকে জয় করে একটি শিক্ষিত কৃষি জনগোষ্ঠি বিনির্মাণে আমি স্বপ্ন দেখি একটি কৃষি কলেজের। কৃষিতে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত করে যে যুবক কর্ম গ্রহন করবে সে অধিক প্রাধান্যতায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলাকার কৃষিতে আমুল পরিবর্তন আনবে। এই প্রত্যয় থেকে পাথরঘাটার হাতেমপুরে তিন একর জমির উপর আমি ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে চৌধূরী মাসুম কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট শুরু করি। পাথরঘাটা-বামনার মাননীয় সাংসদ জনাব হাসানুর রহমান রিমন কলেজটির উদ্বোধন করেন। এলাকাবাসীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি এগিয়ে আসে এর অগ্রগতি ও সাফল্য উত্তরণে। ধাপে ধাপে সরকার প্রয়োজনীয় সুযোগ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানকে আরো গতিময় করে।

আজ প্রতিষ্ঠানটি পাথরঘাটায় সাফল্যের বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। আমাদের উদ্দেশ্য সফল হতে চলেছে। আমি সরকারের সংশ্লীষ্ট দপ্তরের সকলের প্রতি ঐকান্তিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি। স্থানীয় জনমানুষসহ প্রশাসন ও মাননীয় সাংসদ জনাব হাসানুর রহমান রিমন’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি। আশা করছি চৌধূরী মাসুম কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিউটের নিরন্তর এগিয়ে যাওয়ায় সকলের ইতিবাচক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

চৌধূরী মোহাম্মদ মাসুম

প্রতিষ্ঠাতা

চৌধূরী মাসুম কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট

পাথরঘাটা।